তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার দেড় বিলিয়ন ডলার উপার্জন করছেন। ২০২৫ সালে আরো ১০ লাখ নতুন ফ্রিল্যান্সার তৈরি হবে এবং উপার্জন ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে ‘সিংড়া আইসিটি ফ্রিল্যান্সিং ক্যাম্প’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ক্যাম্পে উপজেলার ৮০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভাষণে স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিতে প্রত্যেক যুবককে চাকরি প্রদানের কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা এবং ডিজিটাল আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় ‘সোনার বাংলা’র আধুনিক রুপ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।

আজকের ৫ কোটি শিক্ষার্থীই ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসীন হবেন। তাদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকার কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাদের সুযোগ তৈরী করে দিতে সারাদেশে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ সহজলভ্য করা হয়েছে। ইন্টারনেটের শক্তি এবং তারুণ্যের মেধা কাজে লাগিয়ে আতœকর্মী হয়ে গড়ে উঠবেন শিক্ষার্থীরা। তারা চাকরি প্রার্থী নয়, চাকরি প্রদানকারী হবেন।

তাঁরা হবেন রেমিট্যান্সযোদ্ধা। এ জন্য সরকারের প্রদত্ত সুযোগ কাজে লাগাতে তাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান ছাড়াও পরবর্ত্তী ছয় মাসে প্রশিক্ষণ প্রদানের ঘোষণা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এই কার্যক্রমে সফলতা পেলে সিংড়া মডেল সারাদেশে বাস্তবায়ন করা হবে।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন আর্নিং এন্ড লার্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পলক আর্নিং অ্যান্ড লার্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ৯৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে চারজনের হাতে সনদ তুলে দেন। এ ছাড়া সিংড়ায় নির্মিতব্য শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে ছয়জন ফ্রিল্যান্সারের মধ্যে বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করা হয়।

দিনব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং ক্যাম্পে দেশের খ্যাতনামা ফ্রিল্যান্সারবৃন্দ সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন, তাদের সাফল্যের গল্প শোনাবেন।